Wednesday, July 1, 2020

জিলকদ মাসের ২য় জুময়া - বিষয় - হজ্জ

ইসলামের মূল স্তম্ভসমূহের পঞ্চমটি হল হজ্বেবায়তুল্লাহ। ঈমাননামাযযাকাত  রোযার পরইহজ্বের অবস্থান। হজ্ব মূলত কায়িক  আর্থিকউভয়ের সমন্বিত একটি ইবাদত। তাই উভয় দিকথেকে সামর্থ্যবান মুসলিমের উপর হজ্ব পালন করাফরয। অর্থাৎ হজ্ব আদায়ে সক্ষম এমন শারীরিকসুস্থতার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচাপাতি আসবাবপত্রের অতিরিক্ত হজ্বে যাওয়া-আসার ব্যয়এবং হজ্ব আদায়কালীন সাংসারিক ব্যয় নির্বাহেসক্ষম এমন সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর হজ্ব আদায়করা ফরয।

আল কোরআনের আলোকে হজ্জ:


আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
 (তরজমামানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহপৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে  গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদিঅস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযেআল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষীনন।-সূরা আলে ইমরান () : ৯৭

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
الحج اشهر معلومات فمن فرض فيهن الحج فلا رفث ولا فسوق ولا جدال في الحج، وما تفعلوا من خير يعلمه الله.
 (তরজমাহজ্বের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যেব্যক্তি সেসব মাসে (ইহরাম বেঁধেনিজের উপরহজ্ব অবধারিত করে নেয় সে হজ্বের সময় কোনোঅশ্লীল কথা বলবে নাকোনো গুনাহ করবে না এবংঝগড়া করবে না। তোমরা যা কিছু সৎকর্ম করবেআল্লাহ তা জানেন।-সূরা বাকারা () : ১৯৭




হজ্জ সম্পর্কে সহীহ বোখারীর হাদীস :

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ إِيمَانٌ بِاللهِ وَرَسُولِهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ جِهَادٌ فِي سَبِيلِ اللهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ حَجٌّ مَبْرُورٌ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞেস করা হল , অতঃপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হল, অতঃপর কোনটি? তিনি বলেনঃ হজ্জ-ই-মাবরূর (মাকবূল হজ্জ)।


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৫১৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদীস

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا خَالِدٌ أَخْبَرَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَرَى الْجِهَادَ أَفْضَلَ الْعَمَلِ أَفَلاَ نُجَاهِدُ قَالَ لاَ لَكِنَّ أَفْضَلَ الْجِهَادِ حَجٌّ مَبْرُورٌ

উম্মুল মু‘মিনীন ‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন। হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম ‘আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করবো না? তিনি বললেনঃ না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হল,  হজ্জে মাবরূর।


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৫২০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ حَجَّ للهِ÷ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ

আবূ  হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত রইল, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হজ্জ হতে ফিরে আসবে যেদিন তার মা জন্ম দিয়েছিল।


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৫২১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ سَأَلْنَا ابْنَ عُمَرَ عَنْ رَجُلٍ طَافَ بِالْبَيْتِ فِي عُمْرَةٍ وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ أَيَأْتِي امْرَأَتَهُ فَقَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ فَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعًا {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ}

‘আমর ইব্‌নু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমরা ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ)-এর নিকট জিজ্জেস করলাম, কোন ব্যক্তি ‘উমরাহ করতে গিয়ে শুধু বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করে, আর সাফা ও মারওয়া সা’ঈ না করে, তার পক্ষে কি স্ত্রী সহবাস বৈধ হবে? তখন তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মক্কায়) উপনীত হয়ে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ সাত চক্করে সমাধা করে মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন, এরপর সাত চক্করে সাফা ও মারওয়া সা’য়ী করলেন। [এতটুকু বলে ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বলেন] “তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ”-(আল-আহযাবঃ ২১)।(৩৯৫)(আঃপ্রঃ ১৫৩৪, ইঃফাঃ ১৫৪০)


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৬৪৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

___________________________________

সুনানে নাসয়ীর হাদীস :

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ الْمُخَرِّمِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ وَاسْمُهُ الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ، فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، قَدْ فَرَضَ عَلَيْكُمُ الْحَجَّ» فَقَالَ رَجُلٌ: فِي كُلِّ عَامٍ؟ فَسَكَتَ عَنْهُ حَتَّى أَعَادَهُ ثَلَاثًا، فَقَالَ: «لَوْ قُلْتُ نَعَمْ، لَوَجَبَتْ، وَلَوْ وَجَبَتْ، مَا قُمْتُمْ بِهَا، ذَرُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ، فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِكَثْرَةِ سُؤَالِهِمْ، وَاخْتِلَافِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ، فَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِالشَّيْءِ فَخُذُوا بِهِ مَا اسْتَطَعْتُمْ، وَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَيْءٍ، فَاجْتَنِبُوهُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার লোকদের সামনে খুতবা দিলেন। তিনি বললেনঃ মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের ওপর হজ্জ ফরয করেছেন, তখন এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! (তা কি) প্রতি বছরে? তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) তার উত্তর দেয়া থেকে নীরব রইলেন। লোকটি তিনবার এর পুনরাবৃত্তি করলো। পরে তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেনঃ যদি আমি বলতাম, হ্যাঁ, তা হলে অবশ্যই তা (প্রতি বছরের জন্য) ফরয হয়ে যেতো। আর যদি ফরয হয়েই যেতো, তাহলে তোমরা তা আদায় করতে পারতে না। আমি যা বলি তা বলতে দাও, (প্রশ্ন করে সহজ কাজকে জটিল করো না।) কেননা তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা অধিক প্রশ্ন করা এবং তাদের নবীদের সাথে মতবিরোধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। আমি যখন তোমাদেরকে কোন কাজের আদেশ দেই তখন তা তোমরা সাধ্যানুযায়ী পালন করো। আর যখন কোন কাজ করতে নিষেধ করি, তখন তা পরিত্যাগ করো।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬১৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُوسَى بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَلِيلِ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ، فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَتَبَ عَلَيْكُمُ الْحَجَّ» فَقَالَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ كُلُّ عَامٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَسَكَتَ، فَقَالَ: «لَوْ قُلْتُ نَعَمْ، لَوَجَبَتْ، ثُمَّ إِذًا لَا تَسْمَعُونَ، وَلَا تُطِيعُونَ، وَلَكِنَّهُ حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

(একবার) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ভাষণ দিতে) দাঁড়িয়ে বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের ওপর হজ্জ ফরয করেছেন। তখন আকরা ইবন হাবিস তামীমী (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! (তা কি) প্রতি বছরের জন্য? (তিনি) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব রইলেন। তারপর বললেনঃ আমি যদি বলতাম, হ্যাঁ, তবে তা ফরয হয়ে যেতো। তখন তোমরা তা শুনতেও না এবং মানতেও না। কিন্তু (তোমরা জেনে রাখ) হজ্জ তা একটিই, হজ্জ একবারই ফরয।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ سَالِمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي رَزِينٍ، أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ، لَا يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ، وَلَا الْعُمْرَةَ، وَلَا الظَّعْنَ، قَالَ: «فَحُجَّ، عَنْ أَبِيكَ، وَاعْتَمِرْ»

আবূ  রুযাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার পিতা একজন অতিবৃদ্ধ লোক, হজ্জ ও উমরা করার এবং বাহনে আরোহণেরও ক্ষমতা তাঁর নেই। তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেনঃ তাহলে তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ ও উমরা আদায় কর।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الصَّفَّارِ الْبَصْرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ وَهُوَ ابْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ سُمَيٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْحَجَّةُ الْمَبْرُورَةُ: لَيْسَ لَهَا جَزَاءٌ إِلَّا الْجَنَّةُ، وَالْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا "

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘মাবরূর’ (কবুল হওয়া) হজ্জের জন্য জান্নাত ব্যতীত কোন প্রতিদান নেই। আর এক উমরা অন্য উমরার মধ্যবর্তী সময়ের জন্য গুনাহর কাফফারা হয়।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ: أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «الْإِيمَانُ بِاللَّهِ» قَالَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» قَالَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «ثُمَّ الْحَجُّ الْمَبْرُورُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ সে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! কোন্ আমল সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনা। সে বললেনঃ এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদ করা। ঐ ব্যক্তি আবার বললঃ তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ মাবরূর হজ্জ। [১]


ফুটনোটঃ
[১] যে হজ্জের মধ্যে পাপ ও হজ্জ ক্ষুণ্ণকারী কোন কাজ সংঘটিত হয় না। মতান্তরে যে হজ্জ আল্লাহ্‌র নিকট কবূল হয়, তাকে ‘মাবরূর’ হজ্জ বলে।

সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَثْرُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ سُهَيْلَ بْنَ أَبِي صَالِحٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَفْدُ اللَّهِ ثَلَاثَةٌ: الْغَازِي، وَالْحَاجُّ، وَالْمُعْتَمِرُ "

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র প্রতিনিধি তিন ব্যক্তি; গাযী (মুজাহিদ), হাজী ও উমরা আদায়কারী।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ اللَّيْثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ ابْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " جِهَادُ الْكَبِيرِ، وَالصَّغِيرِ، وَالضَّعِيفِ، وَالْمَرْأَةِ: الْحَجُّ، وَالْعُمْرَةُ "
---
[حكم الألباني] حسن وفقرة المرأة صحيحة من حديث عائشة

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বৃদ্ধ, অল্প বয়স্ক, দুর্বল এবং নারীদের জিহাদ হলো হজ্জ ও উমরা।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২৬
হাদিসের মান: অন্যান্য


أَخْبَرَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ وَهُوَ ابْنُ عِيَاضٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَجَّ هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ، وَلَمْ يَفْسُقْ، رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এই ঘরের (বায়তুল্লাহর) হজ্জ করলো এবং অশ্লীল কথা বললো না ও কোন পাপ করলো না সে সদ্যজাত শিশুর মত (নিষ্পাপ) হয়ে প্রত্যাবর্তন করলো।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ حَبِيبٍ وَهُوَ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، قَالَتْ: أَخْبَرَتْنِي أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا نَخْرُجُ فَنُجَاهِدَ مَعَكَ، فَإِنِّي لَا أَرَى عَمَلًا فِي الْقُرْآنِ، أَفْضَلَ مِنَ الْجِهَادِ، قَالَ: «لَا، وَلَكُنَّ أَحْسَنُ الْجِهَادِ وَأَجْمَلُهُ، حَجُّ الْبَيْتِ، حَجٌّ مَبْرُورٌ»

আয়েশা বিনত তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, আমি বললামঃ ইয়া রাসূ্লুল্লাহ্! আমরা কি আপনার সাথে জিহাদে যোগদান করবো না? আমি কুরআনে জিহাদ অপেক্ষা উত্তম কোন আমলই দেখছি না। তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেনঃ না, বরং তোমাদের (নারীদের) জন্য অতি সুন্দর ও অতি উত্তম জিহাদ হলো বায়তুল্লাহর হজ্জ (অর্থাৎ) ‘মাবরূর’ হজ্জ।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَيٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا، وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ، لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلَّا الْجَنَّةُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক উমরা হতে অন্য উমরা পর্যন্ত উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারা। আর ‘মাবরূর’ হজ্জের বিনিময় জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬২৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَتَّابٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَإِنَّهُمَا: يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ، وَالذُّنُوبَ، كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ "

আমর ইবন দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা হজ্জ ও উমরা পরস্পর পালন (হজ্জ সমাপনের পর উমরা এবং উমরার পর হজ্জ) করবে, কেননা তা (এ দু’টি) অভাব অনটন ও পাপকে দূর করে দেয় যেমন (কামারের) হাপর লোহার মরিচা দূর করে থাকে।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَيَّانَ أَبُو خَالِدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَإِنَّهُمَا: يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ، كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ: خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَلَيْسَ لِلْحَجِّ الْمَبْرُورِ ثَوَابٌ دُونَ الْجَنَّةِ "
---
[حكم الألباني] حسن صحيح

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা হজ্জ ও উমরা পরস্পর (হজ্জ সমাপনের পর উমরা এবং উমরার পর হজ্জ) আদায় করবে, কেননা তা অভাব ও পাপ এরূপ দূর করে দেয়, যেরূপ হাপর লোহা, সোনা ও রুপার ময়লা দূর করে থাকে। আর ‘মাবরূর’ হজ্জের বিনিময় জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩১
হাদিসের মান: হাসান সহিহ


أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةً نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ، فَمَاتَتْ، فَأَتَى أَخُوهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: «أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ عَلَى أُخْتِكَ دَيْنٌ أَكُنْتَ قَاضِيَهُ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَاقْضُوا اللَّهَ، فَهُوَ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

একজন মহিলা হজ্জ মান্নত করেছিল। সে মৃত্যুবরণ করলো (হজ্জ করতে পারলো না)। এরপর তার ভাই রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর নিকট এসে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো। তিনি বললেনঃ তুমি কি মনে কর, যদি তোমার বোনের দেনা থাকতো তুমি কি তা আদায় করতে? সে বললঃ হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে, আল্লাহ্‌র হকও আদায় কর; কেননা তা আদায় করার অধিক উপযোগী।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ سَلَمَةَ الْهُذَلِيُّ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَمَرَتِ امْرَأَةٌ سِنَانَ بْنَ سَلَمَةَ الْجُهَنِيَّ أَنْ يَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ أُمَّهَا مَاتَتْ وَلَمْ تَحُجَّ، أَفَيُجْزِئُ عَنْ أُمِّهَا أَنْ تَحُجَّ عَنْهَا؟ قَالَ: «نَعَمْ، لَوْ كَانَ عَلَى أُمِّهَا دَيْنٌ فَقَضَتْهُ عَنْهَا، أَلَمْ يَكُنْ يُجْزِئُ عَنْهَا فَلْتَحُجَّ عَنْ أُمِّهَا»

মূসা ইবন সালামা হুযালী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, সিনান ইবন সালামা জুহানী (রাঃ)-এর স্ত্রী তাকে বললেন, যেন তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে জিজ্ঞাসা করেন যে, তার মা হজ্জ না করেই ইনতিকাল করেছেন। তার মায়ের পক্ষ থেকে সে হজ্জ করলে তা যথেষ্ট হবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, যদি তার মায়ের কোন দেনা থাকতো আর তার পক্ষ হতে সে আদায় করতো, তা হলে কি তার মায়ের পক্ষ থেকে তা আদায় হতো না? অতএব সে যেন তার মায়ের পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করে।


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ الْأَوْدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرُّؤَاسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ ابْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَبِيهَا، مَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ؟ قَالَ: «حُجِّي عَنْ أَبِيكِ»

ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে তাঁর পিতা সম্পর্কে প্রশ্ন করলো যে, তিনি হজ্জ না করে ইনতিকাল করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ আদায় কর।


ফুটনোটঃ
বাহনে স্থির থাকতে অসমর্থ জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে হজ্জ করা

সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৬৩৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



No comments:

Post a Comment