Saturday, September 15, 2018

আহলে বাইতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মর্যাদা

আহলে বাইতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মর্যাদা

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আওলাদগণকে আহলে বাইতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলা হয়। ইসলামী দুনিয়ার আকাশে তাঁরা যেন সু-উজ্জল নক্ষত্ররাজি। তাঁরা সকল মানুষের আদর্শ। তাঁদের অনুসরনই ইসলাম, তাঁদের প্রতি ভালবাসাই ঈমান। কুরআন-সুন্নাহ্তে তাঁদের মান-মর্যাদার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করা মুমিন মাত্রই ওয়াজিব। তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা তাঁদেরকে মহব্বত করা মানেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মহব্বত করা। তাঁরাই সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে আল্লাহর বানী পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁরা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় জান-মাল, ধন-সম্পদ, আওলাদ-পরিজন কুরবাণী দিতে দ্বিধা করেননি। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা তার উজ্জল প্রমাণ। যেখানে হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু স্ব-পরিবারে শাহাদাত বরণ করেছেন। তাই মুসলিম জগত তাঁদের কাছে ঋণী। আল্লাহ এবং রাসূলেরও নির্দেশ তাঁদেরকে মহব্বত করা, তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।

আল্লাহ তা‘আলার বাণী-
ﻗُﻞْ ﻻ ﺍَٔﺳْﺎٔﻟُﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍَٔﺟْﺮﺍً ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻤﻮﺩّﺓ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘُﺮْﺑﻰ
অর্থাৎ হে হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি বলুন, আমি তোমাদের কাছে আমার দাওয়াতের জন্য (দ্বীন প্রচারের বিনিময়ে) আমার আহ্লে বাইতের মহব্বত ব্যতীত কোন কিছুই চাই না।
 (সূরা শুরা : ২৩)

আন্তরিকতাপূর্ণ নিষ্কলুষ ভালবাসার এই দাবী মুমিনদের উপর কেবল মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকটআত্মীয়দের জন্যই রাখা হয়েছে। উক্ত আয়াতের আলোকে ঈমানদারের উপর আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল এর পরে আহ্লে বাইতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন করা একান্ত অপরিহার্য।

আহলে বাইতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বদা মানবতার কল্যাণকামী, পূত পবিত্র তাঁদের ব্যক্তিসত্ত্বা, নিষ্কলুষ তাঁদের জীবন চরিত। আল্লাহ তাঁদের থেকে সব রকমের নাপাকী ও পঙ্কিলতা দূর করেছেন। এই মর্মে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
ﺇﻧّﻤﺎ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨْﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺍٔﻫْﻞَ ﺍﻟﺒَﻴْﺖِ ﻭﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬِﻴﺮﺍً
অর্থাৎ হে নবী পরিবারগণ! আল্লাহ তো তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে চান এবং তোমাদেরকে সর্বোত্তমভাবে পবিত্র রাখতে চান। (সূরা আহজাব: ৩৩)

প্রিয়তম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আহলে বাইত, তাঁর পূণ্যবতী স্ত্রীগণ, তাঁর নূরানী বংশধরগণ সর্বোত্তভাবে পবিত্র এবং আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়। অত্র আয়াতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরিবারবর্গের ফজিলত ও মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। অত্র আয়াতে আহলে বাইত শব্দটি পরিবারবর্গের সদস্য ও বংশধরদেরকে শামিল করে। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিবিগণ তাঁর পরিবারের সদস্য হিসেবে আহলে বাইত। আর তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আত্মীয় স্বজন বংশধর হিসেবে আহলে বাইত।
ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর প্রসঙ্গে। এ প্রসঙ্গে তিরমিযি শরীফের ২য় খন্ডের ২২৭ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে-
ﻓﺪﻋﺎ ﻋﻠﻲ ﻭﻓﺎﻃﻤﺔ ﻭﺍﻟﺤﺴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻢ ﻓﻘﺎﻝ : ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻫﻮٔﻻﺀ ﺍٔﻫﻞ ﺑﻴﺘﻲ ﻓﺎٔﺫﻫﺐ ﻋﻨﻬـﻢ ﺍﻟﺮﺟﺲ ﻭﻃﻬـــﺮﻫﻢ ﺗﻄﻬﻴﺮﺍ ﻭ ﻧﺰﻟﺖ ﻫﺬﻩ ﺍﻻٓﻳﺔ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ‏( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺍٓﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ‏) ‏( ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨْﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺍَٔﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬﻴﺮﺍً ‏) : ﻓﻲ ﺑﻴﺖ ﺍٔﻡ ﺳﻠﻤﺔﻗﺎﻟﺖ ﺍٔﻡ ﺳﻠﻤﺔ : ﻭﺍٔﻧﺎ ﻣﻌﻬﻢ ﻳﺎ ﻧﺒﻲ ﺍﻟﻠﻪ؟ ﻗﺎﻝ : ﺍٔﻧﺖ ﻋﻠﻰ ﻣﻜﺎﻧﻚ، ﻭﺍٔﻧﻚ ﻋﻠﻰ ﺧﻴﺮ

অর্থাৎ (উপরোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর) দয়াল নবীজি, হযরত আলী, হযরত ফাতেমা, হযরত ইমাম হাসান ও হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) কে একত্রিত করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! এরা সব আমার আহ্লে বাইত। তাঁদের থেকে অপবিত্রতা দূরীভূত করুন এবং তাঁদেরকে খুব পরিচ্ছন্ন করুন।

উক্ত আয়াাতখানা হযরাত উম্মে সালমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা-এর ঘরে অবতীর্ণ হল। ঐ সময় হযরত উম্মে সালমা এসে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দরবারে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমিও তাঁদের সাথে আছি? হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি তোমার স্থানে, তুমি কল্যাণের উপর আছ।

এ প্রসঙ্গে তাফসীরে ইবনে আরাবীর মধ্যে এসেছে-
ﻗﺎﻟﻮﺍ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻗﺮﺍﺑﺘﻚ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻭﺟﺒﺖ ﻋﻠﻴﻨﺎ ﻣﻮﺩﺗﻬﻢ ﻓﺎﺟﺎﺏ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻠﻲ ﻭﻓﺎﻃﻤﺔ ﻭﺍﻟﺤﺴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺍﺑﻨﻬﻤﺎ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻢ * ﻗﺎﻟﻮﺍ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻗﺮﺍﺑﺘﻚ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻧﺰﻟﺖ ﺍﻻﻳﺔ ﻗﺎﻝ ﻟﻲ ﻭﻓﺎﻃﻤﺔ ﻭﺍﺑﻨﻬﻤﺎ
অর্থাৎ সাহাবায়ে কেরামগণ জানতে চাইলেন যে, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার ঐ সব নিকটআত্মীয় কারা, যাঁদের প্রতি আমাদের ভালবাসা ফরজ বা যাদের ভালবাসার ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে? তদুত্তরে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- আলী, ফাতেমা, হাসান, হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এবং তাঁদের সন্তানগণ। (যথাক্রমে তাফসীর ইবনে আরাবী, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২১২ ও তাফসীরে মাদারিক, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৫৫)

অন্য হাদীসে এসেছে-
ﻋﻦ ﺍٔﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﻗﺎﻝ : ﺳُﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ‏( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺍٓﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ‏) ﺍٔﻱ ﺍٔﻫﻞ ﺑﻴﺘﻚ ﺍٔﺣﺐّ ﺇﻟﻴﻚ؟ ﻗﺎﻝ : ‏( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺍٓﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ‏) ﺍﻟﺤﺴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﻴﻦ
অর্থাৎ, হযরত আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, আপনার আহ্লে বাইতে মধ্যে কে আপনার অধিক প্রিয়? হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হাসান ও হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা। (আল ইসতি‘আব, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩৮০)

ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ” ﻣَﻦْ ﺍَٔﺣَﺒَّﻬُﻤَﺎ ﻓَﻘَﺪْ ﺍَٔﺣَﺒَّﻨِﻲ ، ﻭَﻣَﻦْ ﺍَٔﺑْﻐَﻀَﻬُﻤَﺎ ﻓَﻘَﺪْ ﺍَٔﺑْﻐَﻀَﻨِﻲ ” . ﻳَﻌْﻨِﻲ : ﺣَﺴَﻨًﺎ ، ﻭَﺣُﺴَﻴْﻨًﺎ
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি উভয়কে ভালবাসে, নিশ্চয়ই সে আমাকে ভালবাসে এবং যে উভয়ের প্রতি ঈর্ষা পোষণ করল সে বস্তুত আমার সাথেই ঈর্ষা করল (অর্থাৎ হাসান ও হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা)। (মিশকাত, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৪৪; আহমাদ, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৮৮; তিরমিযি, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৪১)

হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত-
ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﻗﺎﻝ : ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺍٔﺷﺒﻪ ﺑﺮﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺎ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺼﺪﺭ ﻭﺍﻟﺮﺍٔﺱ ، ﻭﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺍٔﺷﺒﻪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺍٔﺳﻔﻞ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ
অর্থাৎ, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বক্ষ থেকে মাথা পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাদৃশ্য এবং হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বক্ষ থেকে নিচের দিকে পরিপূর্ণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাদৃশ্য। (মিশকাত, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৬৪০; তিরমিযি, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৩৪৩; আহমদ)

অন্য হাদীসে এসেছে-
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﻫﻤﺎ ﺭﻳﺤﺎﻧﺘﺎﻱ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ
অর্থাৎ, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে হাসান ও হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা দুনিয়াতে আমার বেহেশতী দু’টি ফুল। (মিশকাত)
ফুলের রূপ, বর্ণ, গন্ধ প্রভৃতি মূল থেকে উৎসরিত। ঐ মূলই হচ্ছেন হুজুর সাইয়্যিদে আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যিনি এই বেহেশতি দুই ফুলকে কাঁধে উঠাতেন, নামাযরত অবস্থায় হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাঁধে চড়ে বসলে রুকু-সিজদা বিলম্বিত করতেন, যাঁদের কান্না হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে একেবারে অসহ্য ছিল। যাঁদেরকে বেহেশতি যুবকদের সর্দার বলে ঘোষণা দিয়েছেন। যাঁদের স্মরণ আল্লাহর যিকির।
(সূরা রাদ : ২৮)
আহলে বাইতের প্রকৃত গোলামীতেই বেলায়ত অর্জিত হয়। আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য অর্জন করা যায়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁদের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা প্রদর্শনের এবং শ্রদ্ধাভরে তাঁদের গোলামীতে আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করুন। আমীন! বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালীন।

No comments:

Post a Comment