পবিত্র কুরআন- সুন্নাহের আলোকে
পীর- বুযুর্গদের শান- মান
আওলীয়া আল্লাহর পরিচয় কি??
তাদের চেনার উপায় কি??
কেন তাদের সঙ্গে থাকতে মোমিন বা মুসলমানগন (সুন্নিরা) পছন্দ করেন?
কেনই বা তাদের সঙ্গ আমাদের জন্য রহমত
আর তাদের সংসর্গের থাকার ফজিলত কি এবং তাদের বিরোধিতার পরিনাম কি??
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ - ﻋَﻦ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : « ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺣَﺐَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺒْﺪًﺍ ﻧَﺎﺩَﻯ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞَ : ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﻓُﻠَﺎﻧًﺎ ﻓَﺄَﺣِﺒَّﻪُ ﻓَﻴُﺤِﺒُّﻪُ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞُ، ﻓَﻴُﻨَﺎﺩِﻱ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞُ ﻓِﻲ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ : ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﻓُﻠَﺎﻧًﺎ ﻓَﺄَﺣِﺒُّﻮﻩُ ﻓَﻴُﺤِﺒُّﻪُ ﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﺛُﻢَّ ﻳُﻮﺿَﻊُ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻘَﺒُﻮﻝُ ﻓِﻲِ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে মহব্বত করেন জিব্রাঈল ডেকে বলেন, আল্লাহ অমুককে মহব্বত করেন অতএব তুমি তাকে মহব্বত কর ফলে জিব্রাইল তাকে মহব্বত করেন। অতঃপর জিব্রাইল (আঃ) আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করেন, আল্লাহ অমুককে মহব্বত করেন অতএব তোমরা তাকে মহব্বত কর
ফলে আসমানবাসীরা তাকে মহব্বত করে, অতঃপর জমিনে তার জনপ্রিয়তা রাখা হয়”।
[বুখারি- 5693 ] হাদিসটি সহিহ।
আওলীয়া আল্লাহ চেনার চিহ্ন কি???
তার প্রমান আল্লাহ তার কুরআনে বলেনঃ
ﺇِﻥْ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺅُﻩُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺘَّﻘُﻮﻥَ
আল্লাহর ওলীরা মুত্তাকি ছাড়া কেও নয়....।
সুরা আনফাল, আয়াত-৩৪
আর কি চিহ্ন থাকতে পারে আল্লাহর ওলীর মধ্যে
আসুন লক্ষ করিঃ
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻳﻌﻘﻮﺏ ﺍﻟﻤﻌﺪﻝ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺑﻦ ﻋﻠﻮﻳﺔ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﺑﻦ ﻋﻴﺴﻰ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻟﻬﻴﺎﺝ ﺑﻦ ﺑﺴﻄﺎﻡ ، ﻋﻦ ﻣﺴﻌﺮ ﺑﻦ ﻛﺪﺍﻡ ، ﻋﻦ ﺑﻜﻴﺮ ﺑﻦ ﺍﻷﺧﻨﺲ ، ﻋﻦ
ﺳﻌﻴﺪ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﻗﺎﻝ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ - ﻣﻦ ﺃﻭﻟﻴﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ؟ ﻗﺎﻝ : " ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺇﺫﺍ ﺭﺅﻭﺍ ﺫﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ
"
হজরতে সাইদ রাদিআল্লাহু আনহু হইতে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো আওলিয়া আল্লাহ কারা ?
ইরশাদ করলেন- যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরনে এসে যায়।
★ মাজুমুল কাবীর, হাদীস নং ১২৩২৫
★ মাজমাউজ যাওয়াইদ, হাদীস নং-১৬৭৭৯
★ মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নং ৫০৫০,হজরতে আবু দোহা হইতে বর্নিত
★ তাফসীর ইবনে কাসীর, পৃষ্ঠা-২৭৮,ইবনে আব্বাস হইতে বর্নিত
★ তাফসীরে কুরতুবী, পৃষ্ঠা-২৬৭
★ তাফসীরে তাবরী, হাদীস নং -১৭৭০৩
★ তাফসীরে বাগাওয়ী, আবু মালিক আসয়ারী হইতে বর্নিত, সুরা ইউনুসের আয়াত -৬২ তাফসীরে
★ তাফসীরে কাবীর, সুরা -ইউনুস, আয়াত-৬২
★ তাফসীরে দুররে মান্সুর,পৃষ্ঠা-৬৭৪, সুরা-ইউনুস,আয়াত-৬২
★ তাফসীরে ইবনে হাতিম,হাদীস নং-১০৪৫৪, হজরতে ইবনে আব্বাস হইতে বর্নিত
আল্লাহ তার ওলীদের চেনাচ্ছেনঃ
ﻭﺍﺻﺒﺮ ﻧﻔﺴﻚ ﻣﻊ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺪﻋﻮﻥ ﺭﺑﻬﻢ
আর আপনি সবুর করুন। নিজেকে তাদের সাথে রাখুন যারা সর্বদা আল্লাহকে স্মরন করে।
সুরা কাহাফ, আয়াত-২৮
উক্ত আয়াতের তফসীরঃ
ﺗﻔﺮﺩ ﺑﻪ ﺃﺣﻤﺪ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﺛﻨﺎ ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﺑﻦ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﺻﺎﻟﺢ ﺛﻨﺎ ﺍﺑﻦ ﻭﻫﺐ ﻋﻦ ﺃﺳﺎﻣﺔ ﺑﻦ ﺯﻳﺪ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺯﻡ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﺳﻬﻞ ﺍﺑﻦ ﺣﻨﻴﻒ ﻗﺎﻝ : ﻧﺰﻟﺖ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺃﺑﻴﺎﺗﻪ " ﻭﺍﺻﺒﺮ ﻧﻔﺴﻚ ﻣﻊ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺪﻋﻮﻥ ﺭﺑﻬﻢ ﺑﺎﻟﻐﺪﺍﺓ ﻭﺍﻟﻌﺸﻲ " ﺍﻵﻳﺔ ﻓﺨﺮﺝ ﻳﻠﺘﻤﺴﻬﻢ ﻓﻮﺟﺪ ﻗﻮﻣًﺎ ﻳﺬﻛﺮﻭﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻣﻨﻬﻢ ﺛﺎﺋﺮ ﺍﻟﺮﺃﺱ ﻭﺟﺎﻑ ﺍﻟﺠﻠﺪ ﻭﺫﻭ ﺍﻟﺜﻮﺏ ﺍﻟﻮﺍﺣﺪ ﻓﻠﻤﺎ ﺭﺁﻫﻢ ﺟﻠﺲ ﻣﻌﻬﻢ ﻭﻗﺎﻝ " ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﺟﻌﻞ ﻓﻲ ﺃﻣﺘﻲ ﻣﻦ ﺃﻣﺮﻧﻲ ﺃﻥ ﺃﺻﺒﺮ ﻧﻔﺴﻲ ﻣﻌﻬﻢ
হজরতে আব্দুর রহমান বিন সহেল ইবনে হুনাইফ থেকে বর্নিত তিনি বলেন,
যখন রসুলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের বাসগৃহ সমুহের মধ্যে যাতায়াত করছিলেন। তখন
( ﻭﺍﺻﺒﺮ ﻧﻔﺴﻚ ﻣﻊ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺪﻋﻮﻥ ﺭﺑﻬﻢ ﺑﺎﻟﻐﺪﺍﺓ ﻭﺍﻟﻌﺸﻲ )
আপনি নিজেকে তাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন যারা সকাল সন্ধ্যা তার পালনকর্তাকে তার সন্তুষ্টির জন্য আহবান করে আয়াত নাযিল হলো। রসুলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন এবং আল্লাহর যিকিরে মসগুল এমন কিছু লোককে পেলেন যারা লেবাসে -পোষাকে জীর্নশির্ন এক এবং পোষাকেই আবৃত করে রেখেছেন। তাদের নিকট গিয়ে আল্লাহর রাসুল বললেন।
সকল প্রসংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি করেছেন। আমি সর্বদা তাদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি।
★ তাফসীর এ ইবনে কাসীর, সুরা কাহাফ, আয়াত -২৮ খন্ড -৩ পৃষ্ঠা ৮১
ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻓَﺄُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻣَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀِ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ۚ ﻭَﺣَﺴُﻦَ ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﺭَﻓِﻴﻘًﺎ
আর যে কেউ আল্লাহর ইতায়াত করে এবং তাঁর রাসূলের ইতায়াত করে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবীগন , সিদ্দীকগন , শহীদ ও স্বলেহিনগন। আর তাদের সঙ্গ বা সান্নিধ্যই হল উত্তম সঙ্গ।
★ সুরা নিশা,আয়াত-৬৯
ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺸَﺎﻗِﻖِ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻬُﺪَﻯٰ ﻭَﻳَﺘَّﺒِﻊْ ﻏَﻴْﺮَ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻧُﻮَﻟِّﻪِ ﻣَﺎ ﺗَﻮَﻟَّﻰٰ ﻭَﻧُﺼْﻠِﻪِ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ۖ ﻭَﺳَﺎﺀَﺕْ ﻣَﺼِﻴﺮًﺍ
আর তার নিকট সত্য পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও রাসুলের বিরোধিতা করে, আর অনুসরন করে মোমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ, আমি সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেবো যেদিকে সে অনুসরন করে চলেছে এবং তাকে জাহান্নামে ছুড়ে ফেলে দেবো, আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।
★ সুরা নিসা, আয়াত-১১৫
এইবার তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারনে আমরা কি প্রতিদান পাবো এটাও একটা প্রশ্ন আসে তার জন্য
নিচের হাদীস দেখুন ঃ
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺭَﺃَﻭْﺍ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺪْ ﻧَﺠَﻮْﺍ ﻓِﻲ ﺇِﺧْﻮَﺍﻧِﻬِﻢْ ﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺇِﺧْﻮَﺍﻧُﻨَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻣَﻌَﻨَﺎ ﻭَﻳَﺼُﻮﻣُﻮﻥَ ﻣَﻌَﻨَﺎ ﻭَﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﻣَﻌَﻨَﺎ . ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺍﺫْﻫَﺒُﻮﺍ ﻓَﻤَﻦْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻢْ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﺩِﻳﻨَﺎﺭٍ ﻣِﻦْ ﺇِﻳﻤَﺎﻥٍ ﻓَﺄَﺧْﺮِﺟُﻮﻩُ . ﻭَﻳُﺤَﺮِّﻡُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺻُﻮَﺭَﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ، ﻓَﻴَﺄْﺗُﻮﻧَﻬُﻢْ ﻭَﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ ﻗَﺪْ ﻏَﺎﺏَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﺇِﻟَﻰ ﻗَﺪَﻣِﻪِ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺃَﻧْﺼَﺎﻑِ ﺳَﺎﻗَﻴْﻪِ، ﻓَﻴُﺨْﺮِﺟُﻮﻥَ ﻣَﻦْ ﻋَﺮَﻓُﻮﺍ، ﺛُﻢَّ ﻳَﻌُﻮﺩُﻭﻥَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﺫْﻫَﺒُﻮﺍ ﻓَﻤَﻦْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻢْ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﻧِﺼْﻒِ ﺩِﻳﻨَﺎﺭٍ ﻓَﺄَﺧْﺮِﺟُﻮﻩُ . ﻓَﻴُﺨْﺮِﺟُﻮﻥَ ﻣَﻦْ ﻋَﺮَﻓُﻮﺍ، ﺛُﻢَّ ﻳَﻌُﻮﺩُﻭﻥَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﺫْﻫَﺒُﻮﺍ ﻓَﻤَﻦْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻢْ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﺫَﺭَّﺓٍ ﻣِﻦْ ﺇِﻳﻤَﺎﻥٍ ﻓَﺄَﺧْﺮِﺟُﻮﻩُ . ﻓَﻴُﺨْﺮِﺟُﻮﻥَ ﻣَﻦْ ﻋَﺮَﻓُﻮﺍ ". ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﺗُﺼَﺪِّﻗُﻮﻧِﻲ ﻓَﺎﻗْﺮَﺀُﻭﺍ { ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻَ ﻳَﻈْﻠِﻢُ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﺫَﺭَّﺓٍ ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﻚُ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻳُﻀَﺎﻋِﻔْﻬَﺎ } " ﻓَﻴَﺸْﻔَﻊُ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴُّﻮﻥَ ﻭَﺍﻟْﻤَﻼَﺋِﻜَﺔُ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺍﻟْﺠَﺒَّﺎﺭُ ﺑَﻘِﻴَﺖْ ﺷَﻔَﺎﻋَﺘِﻲ . ﻓَﻴَﻘْﺒِﺾُ ﻗَﺒْﻀَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻓَﻴُﺨْﺮِﺝُ ﺃَﻗْﻮَﺍﻣًﺎ ﻗَﺪِ ﺍﻣْﺘُﺤِﺸُﻮﺍ، ﻓَﻴُﻠْﻘَﻮْﻥَ ﻓِﻲ ﻧَﻬَﺮٍ ﺑِﺄَﻓْﻮَﺍﻩِ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻪُ ﻣَﺎﺀُ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓِ، ﻓَﻴَﻨْﺒُﺘُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺣَﺎﻓَﺘَﻴْﻪِ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﻨْﺒُﺖُ ﺍﻟْﺤِﺒَّﺔُ ﻓِﻲ ﺣَﻤِﻴﻞِ ﺍﻟﺴَّﻴْﻞِ، ﻗَﺪْ ﺭَﺃَﻳْﺘُﻤُﻮﻫَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺟَﺎﻧِﺐِ ﺍﻟﺼَّﺨْﺮَﺓِ ﺇِﻟَﻰ ﺟَﺎﻧِﺐِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَﺓِ، ﻓَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲِ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺧْﻀَﺮَ، ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻈِّﻞِّ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺑْﻴَﺾَ، ﻓَﻴَﺨْﺮُﺟُﻮﻥَ ﻛَﺄَﻧَّﻬُﻢُ ﺍﻟﻠُّﺆْﻟُﺆُ، ﻓَﻴُﺠْﻌَﻞُ ﻓِﻲ ﺭِﻗَﺎﺑِﻬِﻢُ ﺍﻟْﺨَﻮَﺍﺗِﻴﻢُ ﻓَﻴَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻫَﺆُﻻَﺀِ ﻋُﺘَﻘَﺎﺀُ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺃَﺩْﺧَﻠَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋَﻤَﻞٍ ﻋَﻤِﻠُﻮﻩُ ﻭَﻻَ ﺧَﻴْﺮٍ ﻗَﺪَّﻣُﻮﻩُ . ﻓَﻴُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻬُﻢْ ﻟَﻜُﻢْ ﻣَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺘُﻢْ ﻭَﻣِﺜْﻠُﻪُ ﻣَﻌَﻪُ ."
যখন ঈমানদারগন(ওলীগন) এই দৃশ্যটি অবলোকন করবে যে, তাদের ভাইদেরকে রেখে একমাত্র তারাই নাজাত পেয়েছে, তখন তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের সেসব ভাই কোথায়, যারা আমাদের সঙ্গে সালাত আদায় করত, রোযা পালন করত, নেক কাজ করত?
তখন আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে বলবেনঃ
তোমরা যাও, যাদের অন্তরে এক দীনার বরাবর ঈমান পাবে, তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আন। আল্লাহ তাআলা তাদের মুখমন্ডল জাহান্নামের ওপর হারাম করে দিয়েছেন। এদের কেউ কেউ দু'পা ও দু'পায়ের নলীর অধিক পর্যন্ত জাহান্নামের মধ্যে থাকবে। তারা যাদেরকে চিনতে পারে, তাদেরকে বের করবে। তারপর এরা আবার প্রত্যাবর্তন করবে।
আল্লাহ আবার তাদেরকে বলবেন, তোমরা যাও, যাদের অন্তরে অর্ধ দীনার পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। তারা গিয়ে তাদেরকেই বের করে নিয়ে আসবে যাদেরকে তারা চিনতে পারবে। তারপর আবার প্রত্যাবর্তন করবে। আল্লাহ তাদেরকে আবার বলবেন, তোমরা যাও, যাদের অন্তরে অনু পরিমাণ ঈমান পাবে, তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। তারা যাদেরকে চিনতে পাবে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। বর্ণনাকারী আর সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেনঃ তোমরা যদি আমাকে বিশ্বাস না কর, তাহলে আল্লাহর এ বানীটি পড়ঃ আল্লাহ অণু পরিমানও জুলুম করেন না। এবং অণু পরিমান পূণ্য কাজ হলেও আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ করেন
তারপর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফেরেশতা ও মুমিনগণ(আল্লাহর ওলী) সুপারিশ করবেন। তখন মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলবেন, এখন একমাত্র আমার শাফাআতই অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি জাহান্নাম থেকে একমুষ্টি ভরে এমন কতগুলো কওমকে বের করবেন, যারা জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপর তাদেরকে বেহেশতের সামনে অবস্থিত 'হায়াত’ নামক নহরে ঢালা হবে। তারা সে নহরের দুপার্শ্বে এমনভাবে উদ্ভুত হবে, যেমন পাথর এবং গাছের কিনারে বহন করে আনা আবর্জনায় নীচ থেকে তৃণ উদ্ভুত হয়। দেখতে পাও তন্মধ্যে সূর্যের আলোর অংশের গাছগুলো সাধারণত সবুজ হয়, ছায়ার অংশগুলো সাদা হয়। তারা সেখান থেকে মুক্তার দানার মত বের হবে। তাদের গর্দানে মোহর লাগানো হবে। জান্নাতে তারা যখন প্রবেশ করবে, তখন অপরাপর জান্নাতবাসীরা বলবেন, এরা হলেন রাহমান কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত যাদেরকে আল্লাহ তা'আলা কোন নেক আমল কিংবা কল্যাণ কাজ ছাড়া জান্নাতে দাখিল করেছেন। তখন তাদেরকে ঘোষনা দেয়া হবেঃ তোমরা যা দেখেছ, সবই তো তোমাদের এর সাথে আরো সমপরিমান দেওয়া হল তোমাদেরকে।
★ বুখারী, কিতবুত তওহিদ, হাদীস নং-৬৯৩২
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲْ ﺑَﻜْﺮٍ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻣِﻲُّ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻓُﻀَﻴْﻞُ ﺑْﻦُ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲْ ﺣَﺎﺯِﻡٍ ﻋَﻦْ ﺳَﻬْﻞِ ﺑْﻦِ ﺳَﻌْﺪٍ ﻋَﻦْ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻴَﺪْﺧُﻠَﻦَّ ﻣِﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﺳَﺒْﻌُﻮْﻥَ ﺃَﻟْﻔًﺎ ﺃَﻭْ ﺳَﺒْﻊُ ﻣِﺎﺋَﺔِ ﺃَﻟْﻒٍ ﻟَﺎ ﻳَﺪْﺧُﻞُ ﺃَﻭَّﻟُﻬُﻢْ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺪْﺧُﻞَ ﺁﺧِﺮُﻫُﻢْ ﻭُﺟُﻮْﻫُﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺻُﻮْﺭَﺓِ ﺍﻟْﻘَﻤَﺮِ ﻟَﻴْﻠَﺔَ ﺍﻟْﺒَﺪْﺭِ
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক অথবা সাত লক্ষ লোক একই সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের কেউ আগে কেউ পরে এভাবে নয় আর তাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল থাকবে।
★ সহিহ মুসলিম, কিতাব বাদআল খালক, হাদীস নং-৬৫৪৩,৬৫৫৪
এইবার প্রশ্ন আসতে পারে মিয়া এখানে পীর আওলীয়া কোথায় পেলেন?
তাহলে এই হাদীস দুটি লক্ষ করুনঃ
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺯُﻫَﻴْﺮُ ﺑْﻦُ ﺣَﺮْﺏٍ، ﻭَﻋُﺜْﻤَﺎﻥُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺷَﻴْﺒَﺔَ، ﻗَﺎﻟَﺎ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺟَﺮِﻳﺮٌ، ﻋَﻦْ ﻋُﻤَﺎﺭَﺓَ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﻘَﻌْﻘَﺎﻉِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺯُﺭْﻋَﺔَ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺟَﺮِﻳﺮٍ، ﺃَﻥَّ ﻋُﻤَﺮَ ﺑْﻦَ ﺍﻟْﺨَﻄَّﺎﺏِ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﺄُﻧَﺎﺳًﺎ ﻣَﺎ ﻫُﻢْ ﺑِﺄَﻧْﺒِﻴَﺎﺀَ، ﻭَﻟَﺎ ﺷُﻬَﺪَﺍﺀَ ﻳَﻐْﺒِﻄُﻬُﻢُ ﺍﻟْﺄَﻧْﺒِﻴَﺎﺀُ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ، ﺑِﻤَﻜَﺎﻧِﻬِﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺗُﺨْﺒِﺮُﻧَﺎ ﻣَﻦْ ﻫُﻢْ، ﻗَﺎﻝَ : ﻫُﻢْ ﻗَﻮْﻡٌ ﺗَﺤَﺎﺑُّﻮﺍ ﺑِﺮُﻭﺡِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﻏَﻴْﺮِ ﺃَﺭْﺣَﺎﻡٍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ، ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻣْﻮَﺍﻝٍ ﻳَﺘَﻌَﺎﻃَﻮْﻧَﻬَﺎ، ﻓَﻮَﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥَّ ﻭُﺟُﻮﻫَﻬُﻢْ ﻟَﻨُﻮﺭٌ، ﻭَﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﻧُﻮﺭٍ ﻟَﺎ ﻳَﺨَﺎﻓُﻮﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺧَﺎﻑَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺤْﺰَﻧُﻮﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺣَﺰِﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﻗَﺮَﺃَ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟْﺂﻳَﺔَ { ﺃَﻟَﺎ ﺇِﻥَّ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﺎ ﺧَﻮْﻑٌ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﻫُﻢْ ﻳَﺤْﺰَﻧُﻮﻥَ } [ ﻳﻮﻧﺲ : ٦٢
ﺻﺤﻴﺢ ﺑَﺎﺏٌ ﻓِﻲ ﺍﻟﺮَّﻫْﻦِ
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা নবী নন এবং শহীদও নয়। কিয়ামাতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে তাদের মর্যাদার কারণে নবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হবেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর আমাদের অবহিত করুন,
তারা কারা?
তিনি বলেন, তারা ঐ সব লোক যারা আল্লাহর মহানুভবতায় পরস্পরকে ভালোবাসে, অথচ তারা পরস্পর আত্মীয়ও নয় এবং পরস্পরকে সম্পদও দেয়নি। আল্লাহর শপথ! তাদের মুখমন্ডল যেমন নূর এবং তারা নূরের আসনে উপবেশন করবে। তারা ভীত হবে না, যখন মানুষ ভীত থাকবে। তারা দুশ্চিন্তায় পড়বে না, যখন মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবে। তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ ‘‘জেনে রাখো! আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’’
★ (সূরা ইউনুসঃ ৬২,)
সুনানে আবু দাউদ,কিতাবুল ইজারা, হাদীস নং-৩৫২৭)
- ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺰﺍﻫﺪ ﺍﻷﺻﺒﻬﺎﻧﻲ ، ﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻳﻮﻧﺲ ﺍﻟﻀﺒﻲ ، ﺑﺄﺻﺒﻬﺎﻥ ، ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﺑﺪﺭ ﺷﺠﺎﻉ ﺑﻦ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ ، ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺯﻳﺎﺩ ﺑﻦ ﺧﻴﺜﻤﺔ ، ﻳﺤﺪﺙ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ، ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ : " ﺇﻥ ﻟﻠﻪ ﻋﺒﺎﺩﺍ ﻟﻴﺴﻮﺍ ﺑﺄﻧﺒﻴﺎﺀ ﻭﻻ ﺷﻬﺪﺍﺀ ﻳﻐﺒﻄﻬﻢ ﺍﻟﺸﻬﺪﺍﺀ ﻭﺍﻟﻨﺒﻴﻮﻥ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻟﻘﺮﺑﻬﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻣﺠﻠﺴﻬﻢ ﻣﻨﻪ " ﻓﺠﺜﺎ ﺃﻋﺮﺍﺑﻲ ﻋﻠﻰ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ، ﺻﻔﻬﻢ ﻟﻨﺎ ﻭﺣﻠﻬﻢ ﻟﻨﺎ . ﻗﺎﻝ : " ﻗﻮﻡ ﻣﻦ ﺃﻗﻨﺎﺀ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻣﻦ ﻧﺰﺍﻉ ﺍﻟﻘﺒﺎﺋﻞ ﺗﺼﺎﺩﻗﻮﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺗﺤﺎﺑﻮﺍ ﻓﻴﻪ ، ﻳﻀﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻟﻬﻢ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻣﻨﺎﺑﺮ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻳﺨﺎﻑ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻭﻻ ﻳﺨﺎﻓﻮﻥ ، ﻫﻢ ﺃﻭﻟﻴﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻻ ﺧﻮﻑ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﻻ ﻫﻢ ﻳﺤﺰﻧﻮﻥ
‘হজরতে ইবনে উমর হইতে বর্নিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা নবী নন এবং শহীদও নয়। কিয়ামাতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে তাদের মর্যদার ও সেখানে তাদের মজলিশের কারণে নবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হবেন অতঃপর একজন বেদুইন আদবের সহিত হাটুগেড়ে বসলেন এবং বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আমাদেরকে.. তাদের কিছু বর্ননা দেন এবং আমাদেরকে তাদের পরিচয় দান করুন ইশাদ করেন সংগ্রামী গোষ্ঠী গুলির ভরসা প্রাপ্ত জনগনের মধ্যে থেকে এক দল আল্লাহর সাথে ঘনিষ্টতা স্থাপন করে ও তার সাথে মুহাব্বত করে আল্লাহ আযযাওয়াজাল কিয়ামতের দিনের তাদের জন্য নুরের মিম্বার স্থাপন করবেন তারা ভীত হবে না, যখন মানুষ ভীত থাকবে। তারা আওলিয়া আল্লাহ আযযাওয়াজাল যাদের‘কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নন’’।
.
★ হাকিম আল মুস্তাদরাক, হাদীস নং-৭৩৯৮,ইমাম হাকিম বলেন ﻫﺬﺍ ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻹﺳﻨﺎﺩ
সর্ব শেষে আওলীয়া কেরামদের আলোচনা করলে কিছু নিন্দুক বলে তোমাদের আর কাজ নেই পীর বা বাবাদের ( আল্লাহ ওলীদের) কথা রাত দিন
আসুন সেই সব নিন্দুকদের জবাবঃ
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺃﺣﻤﺪ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﻠﻲ ﺍﻷﺑﺎﺭ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻟﻬﻴﺜﻢ ﺑﻦ ﺧﺎﺭﺟﺔ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺭﺷﺪﻳﻦ ﺑﻦ ﺳﻌﺪ ، ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ ﺍﻟﺘﺠﻴﺒﻲ ، ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﻣﻮﻟﻰ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭ ، ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﺍﻟﺠﻤﻮﺡ ، ﻳﻘﻮﻝ : ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ : ﺇﻥ ﺃﻭﻟﻴﺎﺋﻲ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻱ
، ﻭﺃﺣﺒﺎﺋﻲ ﻣﻦ ﺧﻠﻘﻲ ، ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺬﻛﺮﻭﻥ ﺑﺬﻛﺮﻱ ، ﻭﺃﺫﻛﺮ ﺑﺬﻛﺮﻫﻢ
আবি মানসুর মওলা আল আন্সার হইতে বর্নিত
তিনি শুনেছেন উমার বিন জামুহ থেকে তিনি বলেন... তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন, তিনি বলেন আল্লাহ আজওয়াজাল ফর্মান নিশ্চই আমার বান্দার মধ্যে থেকে আওলীয়া এবং এবং আমার সৃষ্টি থেকে আমার ম্যাহবুব যাদের জিকির আমার জিকির এবং আমার জিকির তাদের জিকির হিসাবে পরিগনিত হয়।
★ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং -১৫১২১
★ ইবনে হাজার আল হাইতমি, মাজাউজ
★ জাউয়াইদ, হাদীস নং- ৩০৪
★ মাআজমুল আউসাত, হাদীস নং- ৬৫৫
No comments:
Post a Comment