# ইয়াজিদ_কাফের_ছিল_তার_দলিল......
খাদেমে সুন্নীয়ত ওয়াত তরীকত আলহাজ্ব মুফতী এস এম সাকীউল কাউছার।
সাজ্জাদানশীন, ঘিলাতলা দরবার শরীফ কুমিল্লা। ।
# বুখারী শরীফের এক হাদীছে রয়েছে কোন মুমিনকে কতল করা কুফুরী। ইমামা হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বড় মুমিন আর কে? যিনি জান্নাতে যুবকদের সর্দার।
# ইয়াজিদকে অধিকাংশ ইমামই ফাসেক বলেছেন। কারো কারো মতে সে কাফের ছিল কিন্তু কেউই ভাল বলে নাই। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল,
ইবনুল হুমাম,জালালুদ্দিন সুয়ুতী,নাসিরুদ্দিন
আলুছীসহ ২৭ জন মুজতাহিদ কাফের বলেছেন।
বিশেষ করে মাহমুদ আলুসী-تفسیر روح المعانی
৯ম খন্ডে لعنة اللہ علی الکاذبين এই আয়াতের ব্যাখ্যয় তিনিও বলেছেন ইয়াজিদ কাফের ছিল।
হানাফি মাযহাবের সবচেয়ে বিখ্যাত কিতাব تفسیر روح المعانی দারুল হাদিস,আল-কাহেরা মিশরের ছাপা-২৫তম খন্ড-৩১০পৃ: দীর্ঘ ২ পৃষ্টা ব্যাপী আলোচনার পর তিনি বলেছেন- مانقول الذی يغلق علی ان الخبث لم يکن مصدقا برسالة النبی صلی اللہ عليه وسلم
ইমাম আলুসী বলেন-আমি ব্যাপক যাচাই বাচাই করার পর আমি আলুসীর মতামত হলো-
খবিস ইয়াজিদ আল্লাহর রাসুল صلی اللہ عليه وسلم এর রিসালাতকেই বিশ্বাস করতনা। সুতরাং যে আল্লাহর রাসুলের রিসালাতকে বিশ্বাস করেনা,সে মুসলমানই
থাকতে পারেনা।
# ইমাম_আহমাদ_ইবনে_হাম্বাল (রহ) বলেন:
ইয়াজিদ কাফের কারণ সে মদকে হালাল মনে করতেন। شرح الفقه الاکبر দারুন নাফায়েস-
বৈরুতের ছাপা-১৭৫ পৃষ্টা।
ইয়াজিদকে জিজ্ঞাসা করা হলো মদ হালাল কেন?
সে বললো হযরত মুহাম্মাদصلی اللہ عليه وسلم এর শরিয়তে হারাম কিন্তু ঈসার শরিয়তে তো হালাল (নাউজুবিল্লাহ)
# আমাদের প্রশ্ন, তাহলে সে কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা'র শরিয়তকে বিশ্বাস করতো?
# পাপিষ্ট ইয়াজিদ ইমাম হোসাইন (রা) কে হত্যা করে বদর দিবসের প্রতিশোধ নিয়েছে। ইমাম হোসাইন (রা) এর লাস যখন ইরাকে উপস্থিত করা হলো পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ তখন কবিতা পড়ল। যা روح المعانی -২৫,তম খন্ড ৩১০পৃষ্টা। সে বলেছে আজকে আমি,মুহাম্মাদ صلی اللہ وسلم যে বদর যুদ্ধে আমাদের পূর্ব পুরুষদের হত্যা করেছিলেন সেই প্রতিশোধ নিলাম।
আবার তা شرح الفقه الاکبر কিতাবে ১৫৮ পৃষ্টায় এসেছে- انی جازيتهم فعلو باشياخ قريش وضاديدهم فی بدر সে অহংকার করে বলেছে-
মুহাম্মাদصلی اللہ وسلم আমাদের পূর্ব পুরুষদের হত্যার প্রতিশোধ নিলাম হোসাইনকে কতল করে।
# অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ইমাম আযম আবু হানিফা (রহ) তো কাফের বলেনি,আমরা কেন বলব?
$ হযরত ইমাম আযম রাহমাতুল্লাহ, বড় ফাসেক বলেছেন। এটা ফিকার মাসয়ালা নয়,এটা আকিদা ও ইতিহাসের মাসয়ালা,তাই এক্ষেত্রে ইমাম আযমের অনুসরন ওয়াজিব নয়।ইমাম অাযমের অনুসরন ফিকহের ক্ষেত্রে। আমরা তাফছিরের ক্ষেত্রে অন্য ইমামকে মানি হাদীসের ক্ষেত্রে অন্য ইমামকে মানি,পীর-মুরিদের ক্ষেত্রে অন্য মাযহাবের ইমামকে মানি।
# সুতরাং এ ক্ষেত্রে মানতে সমস্যা কি?
No comments:
Post a Comment